
নারীরা সব সময় নিজের কষ্ট বা মানসিক চাপ খোলাখুলি বলেন না। বাইরে থেকে সবকিছু স্বাভাবিক মনে হলেও ভেতরে ভেতরে তিনি হয়তো ভীষণ ভেঙে পড়ছেন। কথার ভঙ্গি আর প্রতিদিনের ব্যবহারেই সেই ক্লান্তি, হতাশা বা অবসাদ ধরা পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘ভেজআউট’ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক লেখায় সাবেক অর্থ বিশ্লেষক অ্যাভেরি হোয়াইট এমন সাতটি সাধারণ বাক্য তুলে ধরেছেন, যেসব আদতে মানসিক অবসাদের ইঙ্গিত হতে পারে।
অনেকেই কাজে ব্যস্ত থেকে নিজেকে আড়াল করতে চানছবি: প্রথম আলো
অ্যাভেরি জানান, এসব তিনি কাছের মানুষদের অভিজ্ঞতা থেকে যেমন শুনেছেন, তেমনি নিজের জীবনেও টের পেয়েছেন। চল্লিশের কাছাকাছি বয়সে নিরন্তর সাফল্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে তিনি নিজেও একসময় ভীষণ ক্লান্তি আর নৈরাশ্যে ডুবে গিয়েছিলেন। তাই তাঁর পরামর্শ—কাছের কাউকে যদি বারবার নিচের কথাগুলো বলতে শোনেন, একে হালকাভাবে নেবেন না।
১. ‘এটাই হয়তো ঠিক’
শোনায় নিরুপায় সম্মতি, কিন্তু ভেতরে লুকিয়ে থাকে হাল ছেড়ে দেওয়ার ইঙ্গিত। চাকরি, সম্পর্ক বা জীবনের প্রসঙ্গে কেউ যখন এ কথা বারবার বলেন, তখন ধরে নিতে হয় তিনি ভেবেই নিয়েছেন আর কিছু পরিবর্তন সম্ভব নয়।
২. ‘আমি ভীষণ ক্লান্ত’
এটা কেবল শারীরিক ক্লান্তি নয়। মানসিক অবসাদের সময় মানুষ এমনভাবেই ক্লান্তি প্রকাশ করেন। যন্ত্রের মতো সবকিছু করে যাওয়া, কিন্তু আনন্দ না পাওয়া—এটিই এর লক্ষণ। কাজ, পরিবার, প্রত্যাশা—সব মিলে মানসিক চাপ বেড়ে গিয়ে তিনি ভেতরে ভেতরে নিঃশেষ হয়ে পড়েন। বিশ্রাম এখানে শুধু ঘুম নয়, প্রয়োজন হয় উদ্বেগহীন মানসিক প্রশান্তি।
আরও পড়ুন

আমি ভীষণ ক্লান্ত’– কথাটির মধ্য দিয়ে অনেক সময়ই মানুষের মানসিক অবসাদের প্রকাশ ঘটেছবি: প্রথম আলো
৩. ‘যা হওয়ার হোক’
মনে হতে পারে, তিনি বিষয়টা নিয়ে চিন্তিত নন। কিন্তু আদতে এটি আবেগ থেকে সরে যাওয়া, আশা হারিয়ে ফেলার ইঙ্গিত। এভাবেই হতাশার শুরু হয়।
৪. ‘আমি ভালো আছি’
মাত্র তিনটি শব্দ, কিন্তু ভেতরে থাকে অজস্র না বলা কষ্ট। আশপাশের সবাই বুঝতে পারেন তিনি ভালো নেই, অথচ নিজেকে আড়াল করতে বারবার বলেন—‘আমি ভালো আছি’। এর মানে তিনি নিজের আবেগের মূল্যই যেন আর খুঁজে পাচ্ছেন না।
৫. ‘আমি আসলে কিছু পরোয়া করি না’
যিনি দীর্ঘ সময় ধরে অনেক যত্নশীল ছিলেন, চেষ্টা করেছিলেন, প্রত্যাশা করেছিলেন—তিনি যখন বলেন, ‘পরোয়া করি না’, তখন বুঝতে হবে তিনি ভেতরে ভেতরে শূন্য বোধ করছেন। বারবার আঘাত পেয়ে তিনি উদাসীন হয়ে পড়েছেন। বাইরে থেকে হয়তো স্বাভাবিক মনে হয়, কিন্তু ভেতরে ভেতরে হয়ে যাচ্ছেন আবেগহীন।
অনেকেই কাজে ব্যস্ত থেকে নিজেকে আড়াল করতে চানছবি: প্রথম আলো
অ্যাভেরি জানান, এসব তিনি কাছের মানুষদের অভিজ্ঞতা থেকে যেমন শুনেছেন, তেমনি নিজের জীবনেও টের পেয়েছেন। চল্লিশের কাছাকাছি বয়সে নিরন্তর সাফল্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে তিনি নিজেও একসময় ভীষণ ক্লান্তি আর নৈরাশ্যে ডুবে গিয়েছিলেন। তাই তাঁর পরামর্শ—কাছের কাউকে যদি বারবার নিচের কথাগুলো বলতে শোনেন, একে হালকাভাবে নেবেন না।
১. ‘এটাই হয়তো ঠিক’
শোনায় নিরুপায় সম্মতি, কিন্তু ভেতরে লুকিয়ে থাকে হাল ছেড়ে দেওয়ার ইঙ্গিত। চাকরি, সম্পর্ক বা জীবনের প্রসঙ্গে কেউ যখন এ কথা বারবার বলেন, তখন ধরে নিতে হয় তিনি ভেবেই নিয়েছেন আর কিছু পরিবর্তন সম্ভব নয়।
২. ‘আমি ভীষণ ক্লান্ত’
এটা কেবল শারীরিক ক্লান্তি নয়। মানসিক অবসাদের সময় মানুষ এমনভাবেই ক্লান্তি প্রকাশ করেন। যন্ত্রের মতো সবকিছু করে যাওয়া, কিন্তু আনন্দ না পাওয়া—এটিই এর লক্ষণ। কাজ, পরিবার, প্রত্যাশা—সব মিলে মানসিক চাপ বেড়ে গিয়ে তিনি ভেতরে ভেতরে নিঃশেষ হয়ে পড়েন। বিশ্রাম এখানে শুধু ঘুম নয়, প্রয়োজন হয় উদ্বেগহীন মানসিক প্রশান্তি।
আরও পড়ুন

আমি ভীষণ ক্লান্ত’– কথাটির মধ্য দিয়ে অনেক সময়ই মানুষের মানসিক অবসাদের প্রকাশ ঘটেছবি: প্রথম আলো
৩. ‘যা হওয়ার হোক’
মনে হতে পারে, তিনি বিষয়টা নিয়ে চিন্তিত নন। কিন্তু আদতে এটি আবেগ থেকে সরে যাওয়া, আশা হারিয়ে ফেলার ইঙ্গিত। এভাবেই হতাশার শুরু হয়।
৪. ‘আমি ভালো আছি’
মাত্র তিনটি শব্দ, কিন্তু ভেতরে থাকে অজস্র না বলা কষ্ট। আশপাশের সবাই বুঝতে পারেন তিনি ভালো নেই, অথচ নিজেকে আড়াল করতে বারবার বলেন—‘আমি ভালো আছি’। এর মানে তিনি নিজের আবেগের মূল্যই যেন আর খুঁজে পাচ্ছেন না।
৫. ‘আমি আসলে কিছু পরোয়া করি না’
যিনি দীর্ঘ সময় ধরে অনেক যত্নশীল ছিলেন, চেষ্টা করেছিলেন, প্রত্যাশা করেছিলেন—তিনি যখন বলেন, ‘পরোয়া করি না’, তখন বুঝতে হবে তিনি ভেতরে ভেতরে শূন্য বোধ করছেন। বারবার আঘাত পেয়ে তিনি উদাসীন হয়ে পড়েছেন। বাইরে থেকে হয়তো স্বাভাবিক মনে হয়, কিন্তু ভেতরে ভেতরে হয়ে যাচ্ছেন আবেগহীন।
এই সময় কাছের মানুষদের পাশে থাকাটা খুব জরুরীছবি: প্রথম আলো
৬. ‘আমি এসব ভাবা বাদ দিয়ে দিয়েছি’
শুনতে দৃঢ় শোনালেও, আসলে মানসিক ভাঙনের চিহ্ন। বারবার কেউ যদি এভাবে বলেন বা কথাটা বলতে গিয়ে তাঁর কণ্ঠ ভেঙে যায়, তবে বোঝা যায় তিনি ভেতরে ভেতরে লড়াই করছেন।
৭. ‘আমার শরীরে কোনো শক্তি নেই’
এটা কেবল শারীরিক অবসাদ নয়। মানসিক ক্লান্তি এতটাই বেড়ে যায় যে সহজ কোনো কাজ বা আড্ডার আমন্ত্রণও তাঁর কাছে ভারী মনে হয়। ইচ্ছাশক্তি হারিয়ে গিয়ে শরীরও শক্তিহীন হয়ে পড়ে।
কাছের মানুষদের করণীয়
কাছের কেউ যদি বারবার এমন কথা বলেন, তাঁকে হালকাভাবে নেবেন না। এর মানে তিনি ভেতরে ভেতরে সাহায্যের অপেক্ষায় আছেন। এ সময় প্রয়োজন বোঝা, পাশে থাকা এবং প্রয়োজনে পেশাদার সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া। মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া ঠিক ততটাই জরুরি, যতটা শারীরিক স্বাস্থ্যের।